দিঘাকে গোয়া করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রকল্প শুরু আজ সঞ্জয় সিংহ • কলকাতা দিঘাকে গোয়া বানানোর কাজ আজ, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারে মমতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিঘাকে গোয়া বানানো হবে। ইস্তাহারে বলা হয়েছিল, ‘মা-মাটি-মানুষের সরকার এলে পাঁচ বছর পর গোয়ার মতোই দিঘার আকর্ষণ বাড়বে। বিদেশি পর্যটক আসবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।’ সরকারে আসার তিন মাসের মধ্যেই তাঁর সরকারের পরিবেশ দফতর সেই কাজে হাত দিয়েছে। রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী সুর্দশন ঘোষ দস্তিদার সোমবার বলেন, “দিঘাকে উন্নত পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে হলে আগে সেখানকার পরিবেশ দুষণমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” আজ, দিঘায় এক অনুষ্ঠানে এই কাজের সূচনা করবেন সুর্দশনবাবু। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় ‘ভারতে সুসংহত উপকূলবর্তী অঞ্চলের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে’র (আইসিজেডএম) আওতায় এই কাজ শুরু হচ্ছে বলে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের এক সূত্রে জানা গিয়েছে। ভারতে আইসিজেডএম প্রকল্পের কাজের জন্য প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। গুজরাত, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। পরিবেশমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই টাকায় দিঘা, সুন্দরবন ও রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলির পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিচ্ছন্ন করা ও সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে দিঘার সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলের সৌন্দর্যায়ন, সুমুদ্রের পাড়ের সংরক্ষণ, প্লাস্টিক ও বর্জ্য যাতে সমুদ্রে না ফেলা হয় তার ব্যবস্থা করা, নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজ করা হবে। এর মধ্যে সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব দেওয়া হবে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। নিকাশি ব্যবস্থার কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে। সেইসঙ্গে দিঘার মোহনায় মাছ বিক্রির নিলাম ও মাছ চাষের বিষয় দেখাশুনো করবে রাজ্যের মৎস্য নিগম। দিঘা-জুনপুট এলাকায় বনসৃজনের কাজ করবে রাজ্যের বন দফতর এবং উপকূলবর্তী এলাকায় সাইক্লোনের সময়ে বাঁচার জন্য আশ্রয় শিবির গড়ে তোলার জন্য রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে ভার দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমাদের সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে নিয়েই প্রকল্পের কাজটি হবে। পরিবেশ দফতর ‘নোডাল এজেন্সি’ হিসাবে কাজ করবে।” পাশাপশি দিঘায় এখন যে মাছঘর বা ‘অ্যাকোয়ারিয়াম’ আছে তা সামুদ্রিক মাছ, প্রাণী, উদ্ভিদ-সহ সামুদ্রিক বিষয়সমূহ নিয়ে গবেষণার কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কাজ করা হবে বলে সুর্দশনবাবু জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দিঘার ফোরশোর রোডের উপর রাজ্যের অ্যাকোয়ারিয়াম আছেই। সেই অ্যাকোয়ারিয়ামের আধুনিকীকরণ এবং একটি নৌ-মিউজিয়াম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জু’লজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়াকে (জেডএসআই) ওই অ্যাকোয়ারিয়ামটি দিঘায় আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে, যেখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।” ‘ক্ষমতা’য় আসার আগে, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দিঘায় যাতায়াতের জন্য দুরন্ত এক্সপ্রেস-সহ পাঁচ-ছটি ট্রেন চালু করেছিলেন মমতা। তিনি সেইসময়ে বলেছিলেন, “সমুদ্র ও প্রকৃতিবন্ধু-শিল্পের সম্ভাবনা আছে দিঘায়।” তৃণমূল নেত্রীর সেই বক্তব্যের সূত্র ধরে এ দিন পরিবেশমন্ত্রী জানান, সমুদ্রের জীব বৈচিত্র্য ও ইকো-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দিঘার মতো সমুদ্র-উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জীবনের মানোন্নয়নই আইসিজেডএম প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
read the ABP clippings .Digha is a nostalgia to me, to all the bangalis.we want it beautiful like never before.so...some questions....what is actually meant by 'nichu jaiga'?if it is a low land ,we cannot fill it up with wastes. it's hazardous.if we fill it up with mixed wastes it is more dangerous.if we want to beautify it and moreover maintain that we have to proceed scientifically.segregation of wastes is a must.and then only recycling is possible.scope of jobs are also open.
http://www.anandabazar.in/6bus2.html
ReplyDeleteদিঘাকে গোয়া করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রকল্প শুরু আজ
সঞ্জয় সিংহ • কলকাতা
দিঘাকে গোয়া বানানোর কাজ আজ, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার।
বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারে মমতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিঘাকে গোয়া বানানো হবে। ইস্তাহারে বলা হয়েছিল, ‘মা-মাটি-মানুষের সরকার এলে পাঁচ বছর পর গোয়ার মতোই দিঘার আকর্ষণ বাড়বে। বিদেশি পর্যটক আসবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।’ সরকারে আসার তিন মাসের মধ্যেই তাঁর সরকারের পরিবেশ দফতর সেই কাজে হাত দিয়েছে। রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী সুর্দশন ঘোষ দস্তিদার সোমবার বলেন, “দিঘাকে উন্নত পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে হলে আগে সেখানকার পরিবেশ দুষণমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” আজ, দিঘায় এক অনুষ্ঠানে এই কাজের সূচনা করবেন সুর্দশনবাবু।
বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় ‘ভারতে সুসংহত উপকূলবর্তী অঞ্চলের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে’র (আইসিজেডএম) আওতায় এই কাজ শুরু হচ্ছে বলে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের এক সূত্রে জানা গিয়েছে। ভারতে আইসিজেডএম প্রকল্পের কাজের জন্য প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। গুজরাত, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। পরিবেশমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই টাকায় দিঘা, সুন্দরবন ও রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলির পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিচ্ছন্ন করা ও সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে।
প্রথম পর্যায়ে দিঘার সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলের সৌন্দর্যায়ন, সুমুদ্রের পাড়ের সংরক্ষণ, প্লাস্টিক ও বর্জ্য যাতে সমুদ্রে না ফেলা হয় তার ব্যবস্থা করা, নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজ করা হবে। এর মধ্যে সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব দেওয়া হবে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। নিকাশি ব্যবস্থার কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে। সেইসঙ্গে দিঘার মোহনায় মাছ বিক্রির নিলাম ও মাছ চাষের বিষয় দেখাশুনো করবে রাজ্যের মৎস্য নিগম। দিঘা-জুনপুট এলাকায় বনসৃজনের কাজ করবে রাজ্যের বন দফতর এবং উপকূলবর্তী এলাকায় সাইক্লোনের সময়ে বাঁচার জন্য আশ্রয় শিবির গড়ে তোলার জন্য রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে ভার দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমাদের সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে নিয়েই প্রকল্পের কাজটি হবে। পরিবেশ দফতর ‘নোডাল এজেন্সি’ হিসাবে কাজ করবে।”
পাশাপশি দিঘায় এখন যে মাছঘর বা ‘অ্যাকোয়ারিয়াম’ আছে তা সামুদ্রিক মাছ, প্রাণী, উদ্ভিদ-সহ সামুদ্রিক বিষয়সমূহ নিয়ে গবেষণার কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কাজ করা হবে বলে সুর্দশনবাবু জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দিঘার ফোরশোর রোডের উপর রাজ্যের অ্যাকোয়ারিয়াম আছেই। সেই অ্যাকোয়ারিয়ামের আধুনিকীকরণ এবং একটি নৌ-মিউজিয়াম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জু’লজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়াকে (জেডএসআই) ওই অ্যাকোয়ারিয়ামটি দিঘায় আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে, যেখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।”
‘ক্ষমতা’য় আসার আগে, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দিঘায় যাতায়াতের জন্য দুরন্ত এক্সপ্রেস-সহ পাঁচ-ছটি ট্রেন চালু করেছিলেন মমতা। তিনি সেইসময়ে বলেছিলেন, “সমুদ্র ও প্রকৃতিবন্ধু-শিল্পের সম্ভাবনা আছে দিঘায়।” তৃণমূল নেত্রীর সেই বক্তব্যের সূত্র ধরে এ দিন পরিবেশমন্ত্রী জানান, সমুদ্রের জীব বৈচিত্র্য ও ইকো-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দিঘার মতো সমুদ্র-উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জীবনের মানোন্নয়নই আইসিজেডএম প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
Good value addition; thanks
ReplyDeleteread the ABP clippings .Digha is a nostalgia to me, to all the bangalis.we want it beautiful like never before.so...some questions....what is actually meant by 'nichu jaiga'?if it is a low land ,we cannot fill it up with wastes. it's hazardous.if we fill it up with mixed wastes it is more dangerous.if we want to beautify it and moreover maintain that we have to proceed scientifically.segregation of wastes is a must.and then only recycling is possible.scope of jobs are also open.
ReplyDeletewhy nostalgia? visit again in Dec: we are organising a Digha Beach Festival
ReplyDelete